শারীরিক ভাবে ফিট থাকা
ট্রেক করতে গেলে শারীরিক ফিটনেস অত্যন্ত জরুরি। শারীরিক ভাবে সবল না থাকলে ট্রেক করতে যাওয়া একেবারেই উচিত নয়। ট্রেক করতে যাওয়ার আগে তাই শরীরচর্চা করা জরুরি। নিয়মিত কার্ডিয়ো, স্ট্রেংথ ট্রেনিং করতে হবে।
মানসিক প্রস্তুতি জরুরি
ট্রেক করতে যাওয়ার আগে শুধু শারীরিক ভাবে ফিট থাকলে হবে না, মানসিক দৃঢ়তাও প্রয়োজন। ট্রেক করতে যাওয়া আর বেড়ানো কিন্তু এক ব্যাপার নয়। ট্রেক করতে গেলে অনেক সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। সেই প্রতিকূল পরিস্থিতিতে মাথা ঠান্ডা রেখে সমস্যার সমাধান করতে হলে মানসিক স্থিরতা প্রয়োজন।
ট্রেকিং-এর প্রয়োজনীয় জিনিস
উঠল বাই তো ট্রেকিং করতে যাই, এমন করলে কিন্তু হবে না। কারণ দু’টো জামাকাপড় নিয়ে বেরিয়ে পড়লে ট্রেকিং করা যায় না। ট্রেকিং করার জন্য প্রয়োজনীয় কিছু জিনিসপত্র প্রয়োজন। ব্যাকপ্যাক, তাঁবু, লাঠি এবং ট্রেকিং করতে কাজে লাগবে, এমন আরও অনেক প্রয়োজনীয় জিনিসের খোঁজখবর নিয়ে সেগুলি সঙ্গে রাখতে হবে। এবং সেই সব একটি হালকা ওজনের ব্যাগে ভরে নেওয়াই ভাল।
আরও পড়ুন:
Symbolic Image.
সকালে রওনা, দুপুরে পুরী! সমুদ্রস্নান থেকে পুজো, ট্যুর প্ল্যান বানাল আনন্দবাজার অনলাইন
ওষুধ সঙ্গে রাখতে হবে
ট্রেকিং করতে গেলে ওষুধ নিয়ে যাওয়া বাধ্যতামূলক। ওষুধের প্যাকেটে নিজস্ব ওষুধপত্রের পাশাপাশি থাকবে নাকের ড্রপ, ওআরএস, আমাশা, জ্বরের জন্য প্রয়োজনীয় ওষুধ। ভাল ক্রেপ ব্যান্ডেজ, নিক্যাপ অবশ্যই রাখুন সঙ্গে৷ ব্যথার বাম বা স্প্রে সঙ্গে নিতে ভুলবেন না৷ একটা ডায়েরিতে দরকারি ফোন নম্বর লিখে নিয়ে যান। নিজের পরিচয়পত্রও সঙ্গে রাখুন। যে কোনও পরিস্থিতিতে কাজে লাগতে পারে।
পর্যাপ্ত পোশাক
কী রকম ঠান্ডায় যাবেন, সেই অনুযায়ী পোশাক বাছাই করুন। তিন-চারটে ফুল হাতা জামা, টিশার্ট, সোয়েটার, সঙ্গে বেশ কিছু পকেটওয়ালা কার্গো প্যান্টও ভরে নিতে হবে ব্যাগে। মোজা, গ্লাভস, টুপি নিতে ভুলবেন না যেন। অন্তর্বাসও নিতে হবে বেশ কয়েক জোড়া৷